এক পলাশ বৃষ্টি

 একপলাশ বৃষ্টি

সেই বর্ষারদিনে মেঘভাঙাবৃষ্টি তুমি আর আমি রয়েছি খুব কাছকাছি
শীতল বাতাসে প্রেমের শিরোহন বয়েযায় এই শরীরে,
সেই বৃষ্টিভেজা হাতদুটোর জড়িয়েধরার প্রথম অনুভূতি,
সেই শীতলবাতাস থেকে তোমাকে রক্ষার চেষ্টা,
তোমার নিঃস্বাস আমার বুকে এসে স্পর্শও করছে ,তোমার ঠোঁট দুটো আরো যেন লালচে হয় উঠেছে,শীতল বাতাস যত জোরে বয় আমার মনে হতে লাগলো তুমি আমাকে ততখানি জড়িয়ে ধরতে লাগলে ......


বিকেল তখনও বাকিছিল, না খুব তারাতারই চলে আসলাম ,ফোনটাও বাড়িতে ভুলে চলে এসেছি এখন যে কি করি ,ও তো আসবে বলেছে আজ , না চলে আসবে এখুনি আর একটু দেখি , আকাশের অবস্থাও ভালো না, ইস যদি ফোনটা আনতাম তাহলে ফোনে করে বলে দিতাম যে আজ আর আসতে হবে না, বৃষ্টিও শুরু হলো এই ,কি যে করি ভেবেপাচ্ছি না , ও ঠিক মতো আসতে পারবে তো ,অনেকটা পথ রাস্তাও ভালো না খুব যানবাহন চলাচল  , কথাটা ভাবতেই কেমন যেন ভয়পেলাম, না কিছু হবে না ওরকম ফালতু ভেবে কিছু লাভ নেই , নিজে নিজেকে সান্তনা দিতে লাগলাম তাও বুকের স্পন্দন টা বেড়েই চলল, আর মনে মনে রাগ ও হতে লাগলো এত লেট হচ্ছে কেন ও , যদি ও আমি সব বার লেট হই তাই এইবার আমি খুব তারাতাড়ি চলে এসেছিলাম, এর মধ্যে বৃষ্টি ও শুরু হলো ,যেইখান দাঁড়িয়ে ছিলাম ওই খানটায় একটা বটগাছ ছিল আসে পাশে একটু দূরে কিছু বাড়ি ছিল । তাই বট গাছ টার তলায় দাঁড়িয়ে একটা গলির দিকে তাকিয়ে থাকলাম ,খুব রাগ ধরছিইল মন বলছিল ও এই বৃষ্টিতে আর আসবে না , চোখ থেকে জল বেরিয়ে আসল ঠিক সেই মহুর্তে ও ভিজতে ভিজতে সাইকেলনিয়ে গলির মধ্যেখান টায় আসল, কি হলো বুঝতে পারলাম না সাইকেলটা ওই খানেই রেখে আমার কাছে দৌড়ে আসল তখন আমি বুঝলাম বৃষ্টি তে ভেজাটা ওর ও পছন্দনা , যাই হোক দৌড়ে এসে আমাকে বললো "কি দেখছো কি যাও সাইকেলটা নিয়ে এসো" ,ও দাঁড়িয়ে রইলো বট গাছের তলায় আমি গেলাম সাইকেলে টা আনতে , গেলাম পুরো ভিজে বৃষ্টিতে, ওটা দেখে ওর হাসি সামলানো যায়না আমার বড্ড রাগ হতে লাগলো , এরই মধ্যে বৃষ্টির সাথে ঝড় ঝাপটা ও শুরু হলো ,গাছ তলায় দাঁড়িয়ে ওকে জিজ্ঞাস করলাম কি দরকার ছিল আসার এত বৃষ্টি তে , ও এক কথায় উত্তর দিল "তোমার জন্য তো , অনেকে দিন দেখা হয়নি আজ পড়া ছিল না তাই আসলাম" , আমার এতক্ষনে সব রাগ উবেগেছে।
কিছু একটা বলতে যাবো ভাবলাম সেই মুহূর্তে কড় কড় করে মেঘ গর্জন করে উঠলো আর ও আমাকে জড়িয়ে ধরলো , বৃষ্টিটাও জোর শুরু হলো এত খান আমি লক্ষ করিনি ওর ঠোঁটে লাল রং টা বৃষ্টির জলে ভিজে আরো লাল হয় উঠছে , চোখের কাজলটা কেমন যেন নেশা নেশা সৃষ্টি করছে আমার মনে , মনে হয় যেন ওর দিকে তাকিয়েই থাকি সারাক্ষণ , মেঘের গর্জন আর মুষলধারার বৃষ্টির বেশ কিছুখান চলতে থাকল, দুজনই পুরোপুরি বৃষ্টির জলে পা থেকে মাথা পর্যন্ত ভিজে গিয়েছি ,তাও ও আমাকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে  তখন আমার মনে হতে লাগলো ও আমাকে সারা জীবন ওই ভাবেই  জড়িয়ে রাখবে , আমি ও চেষ্টা করলাম  ওকে বৃষ্টির হাত থেকে কিছু টা রক্ষা করতে , ও আমার দিকে চেয়ে থাকলো আর বললো তোমাকে খুব ভালোবাসি ,ওর লাল ভেজা ঠোঁট দুটো আমার ঠোঁট স্পর্শ করলো নিমেষে আমার শরীর থেকে শীতল ভাবটা দূর হয়ে গেল , আমি ও ওকে বললাম কখনো দূরে চলে যাবে না তো আমাকে ছেড়ে, ও হাসতে লাগলো  সেই হাসি এক নিষ্পাপ হাসি ,বাতাসের বেগ টা বাড়তে লাগলো আমি ভালো করেই বুঝতে পারলাম ওর খুব ঠান্ডা লাগছে তাই ওকে জড়িয়ে ধরলাম নিজের বুকে ,ওর নিঃস্বাস আমার বুকে স্পর্শ করতে লাগলো তখন মনে হতে লাগলো সারাটা জীবন যেন ওকে এই ভাবে বুকে রাখতে পারি তাহলেই হয়তো আমি শান্তি পাবো ,নিজেকে খুব লাকি মনে হচ্ছিল ,,,, (বাকি টা পরের পর্বে),,

Comments

Popular posts from this blog